গণ-আন্দোলনে হতাহতদের জন্য ফাউন্ডেশন হবে
বিগত গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন গঠন করা হবে। আগাম কোনো সতর্কবার্তা না দিয়ে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ার যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এ বিষয়ে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাওয়া হবে। গুমের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ বিষয়ে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেসব মামলা পরিচালনার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হবে। চলমান বন্যায় উদ্ধার, ত্রাণ তৎপরতা এবং বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখবেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বেলা সোয়া ৩টায় এক প্রেসব্রিফিংয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা রেজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান। উপদেষ্টা আরও জানান, বিগত গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের জন্য একটি ফাউন্ডেশন হবে।
ফাউন্ডেশনের প্রধান হবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাউন্ডেশনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা। এ ফাউন্ডেশনের কাজ হচ্ছে নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের সুচিকিৎসা ও তাদের পুনর্বাসন। এছাড়া গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখা, যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানতে পারে প্রকৃতপক্ষে এখানে কী ঘটেছে। এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, একটি আইন প্রণয়ন করে তার অধীনে ফাউন্ডেশন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ভুক্তভোগী মানুষকে কীভাবে সহযোগিতা করব এবং সরকারের ভেতরে কীভাবে কাজগুলোর সমন্বয় হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্যার কারণ কী এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভয়াবহ দুর্যোগ আমরা কীভাবে এড়িয়ে চলতে পারি, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা বন্যা উপদ্রুত প্রতিটি জেলা পরিদর্শনে যাবেন। ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফেনীর উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে গেছেন। তিনি মাঠ পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রমে সমন্বয় করবেন। ত্রাণ, পানি, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাজের সমন্বয় করতে হবে। উজানে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সময়ে বন্যাকবলিত এলাকায়ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলে ভবিষ্যতে আগাম সতর্কতা কীভাবে পাওয়া যাবে, আমাদের আগাম সতর্ক করা হয়েছে কি না, সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থব্যয়ে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের নামকরণের নীতিমালা বা আইনের কথা ভাবছে উপদেষ্টা পরিষদ। নামকরণের ক্ষেত্রে জনমতের প্রতিফলন যেন হয়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা রেজওয়ানা হাসান বলেন, পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নামকরণের বিষয়টি রাতরাতি পরিবর্তন হয়ে যায়।
একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তা যাতে না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখা হচ্ছে। আগে স্থাপিত প্রকল্প বা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তন হবে কি হবে না, তা আইনি কাঠামো তৈরির সময় ঠিক করব। উপদেষ্টা আরও বলেন, যারা বিভিন্ন সময়ে গুম হয়েছেন, তাদের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত, কার দায়ী, তা তদন্ত করে দেখতে একটি কমিশন গঠন হবে। কমিশন গঠনের বিষয়ে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টা এবং আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে যে আইনি প্রক্রিয়াগুলো ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, বিভিন্ন অপরাধে যারা অভিযুক্ত হচ্ছেন, সে আইনি প্রক্রিয়াগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, তা নির্ধারণ করা হবে। আমরা যাতে মানবাধিকারের সব বিষয় সমন্নুত রেখে বা সম্মান করে তারপর আইনগত প্রক্রিয়া চালাতে পারি, সেজন্য কোথায় কোন নির্দেশনা যাওয়া দরকার, তা এ কমিটি ঠিক করে জানিয়ে দেবে।
রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, বিভিন্ন মানুষ নানা দাবিদাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদ তারা করতেই পারে, এটা তাদের অধিকার। বাস্তবতা হচ্ছে অনেক বছর, তারা অনেক কিছুই বলতে পারেনি। প্রতিবাদের কারণে জনজীবনে যাতে বাড়তি দুর্ভোগ বা অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
তাদের প্রতিবাদের সঙ্গে সরকারও কীভাবে সম্পৃক্ত হতে পারে, বিশেষ করে প্রতিবাদটা কোথায় এবং কেমন করে হলে ভালো হয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য না করে তাদের মুখপাত্রের সঙ্গে সরকারের মুখপাত্র বসে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা কমিটি কাজ করবে।
রেজওয়ানা হাসান আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে বিভিন্ন দেশের নৌযান ঢুকে পড়ছে। তারা আমাদের সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমাদের কোস্ট গার্ডকে বলা হবে যাতে কোনো দেশের নৌযান বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে ঢুকতে না পারে।
আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি গঠন : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টাকে আহ্বায়ক করে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করেছে সরকার। এছাড়া জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক), অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিতে উপদেষ্টাদের মধ্যে আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, শারমীন এস মুরশীদ, আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সুপ্রদীপ চাকমা সদস্য হিসাবে রয়েছেন। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে চেয়ারপারসন করে একনেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। একনেকের বিকল্প চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পেয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
এছাড়া অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদকে আহ্বায়ক করে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আমার রাজশাহী- গুমের শিকারদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের
- সবার মতামত নিয়ে কাজ করবে সংস্কার কমিশন
- গতি পাচ্ছে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা
- টার্গেট রপ্তানি ও রেমিট্যান্স
- আবারও উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
- পাটপণ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকার
- ব্যাংকে সরকারের আটকে থাকা অর্থ আদায়ে উদ্যোগ
- ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার বিকল্প নেই
- সবাইকে নিয়ে গড়ব নতুন বাংলাদেশ
- শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য
- মুক্তিযুদ্ধ–জাতীয় সংগীতকে কটাক্ষ করার নিন্দা জানিয়ে ৪৮ নাগরিকের
- পুনরুদ্ধারের পথে গতিহারা অর্থনীতি
- সব শ্রেণির পাঠ্যবই পরিমার্জিত হচ্ছে
- ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের নির্ধারিত সীমা উঠে গেল
- বাজারে চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা নেবেন ডিসিরা
- বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না সরকার: ধর্ম উপদেষ্টা
- রূপপুর পরমাণু প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হবে
- পথ দুর্গম, কাজ চলমান
- শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আজ মতবিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা
- জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করবে সরকার
- বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চুক্তি পর্যালোচনা করবে সরকার
- বিলাসী ১৪টি ছাড়া সব পণ্যের এলসি মার্জিন প্রত্যাহার
- সরকারি অফিসে প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহার করতে হবে
- সব দায় এড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ
- নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
- গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করা হবে
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ১৯৮ বিশ্বনেতার সমর্থন
- ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন ও নতুন যুগ সূচনা করতে চাই
- ডলারের বাজারে কোনো অস্থিরতা নেই
- গুমের শিকারদের সন্ধানে গণবিজ্ঞপ্তি জারি কমিশনের
- টার্গেট রপ্তানি ও রেমিট্যান্স
- সবাইকে নিয়ে গড়ব নতুন বাংলাদেশ
- আবারও উৎপাদনে ফিরল বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র
- বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে সরকার
- ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার বিকল্প নেই
- পাটপণ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হবে
- সবার মতামত নিয়ে কাজ করবে সংস্কার কমিশন
- গতি পাচ্ছে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা
- ব্যাংকে সরকারের আটকে থাকা অর্থ আদায়ে উদ্যোগ