শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪ ||
আষাঢ় ২১ ১৪৩১
|| ২৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২৪
রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জুন) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালও ও সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে বরেন্দ্রর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনসার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনডিসি ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব জসীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমডিএ’র নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো আব্দুর রশীদ। এসময় সম্মানিত অতিথিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে।
সম্মানিত অতিথি ড.নূরুন্নাহার চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ যে এত সুন্দর মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তা আগে আমার জানাছিলোনা। আমি আপনাদের মাঠ পরিদর্শন করে তা বুঝতে পারলাম। বরেন্দ্র সম্পর্কে আমার চিন্তুাভাবনা অনেকটা পরিবর্তন হয়েগেছে। আপনারা মাঠ পর্যাযে এত পরিশ্রম করেন তা অতুলনীয়। আপনারা সব সময় কৃষকের পাশে থাকেন কৃষককে সঠিক সময় পানির ব্যবস্থাকরে আসছেন এর ফলে বরেন্দ্রর চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাজ দেখে আমি অত্যন্ত খুশী। তারপরেও মাঠ পর্যায়ে অনেক হতাশার কথা শুনলাম এবং দীর্ঘদিন থেকে অর্গানোগ্রাম এর জটিলতার জন্য মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। আমি ঢাকায় যেয়ে আপনাদের এই সমস্যা গুলো তুলে ধরবো এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে তা সমাধান করবো।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলার কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছিল। জাতির পিতা বেচে থাকলে বাংলাদেশ আরো আগে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌছিয়ে যেত কিন্তু কিছু অমানুষের জন্য তা সম্ভব হয়নি। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আজ কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের সাড়ে ৩ কোটি কৃষক স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মাটি আর মানুষের শক্তিকে কাজে লাগাতে চান। এদেশের সোনার মানুষ হচ্ছেন দেশের কৃষকরা। আর আমাদের দেশের মাটি হচ্ছে সোনাফলা মাটি। এই দুই শক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে যে কোন দুর্যোগ, সংকট বা যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এজন্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার মত দক্ষ নেতৃত্ব থাকতে হবে।
এসময় মতবিনিয়ন সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল কাসেম, অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, বিএমডিএ সচিব যোবায়ের হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক এটিএম মাহফুজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরীফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নাজিরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমানসহ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক কৃষি, মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
amarrajshahi.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়