ব্রেকিং:
বন্যার্তদের জন্য রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের গণত্রাণ সংগ্রহ রাজশাহী অঞ্চলের ৫টি নদীর পানি বেড়েছে রাজশাহীতে লিটন-ডাবলুর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা রাজশাহী থেকে চলছে আন্তঃনগর ট্রেন দুর্গাপুরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা, ১০ জনকে পুলিশে সোপর্দ বিএনপির কেউ দখল-চাঁদাবাজি করলে আইনে সোপর্দ করুন: মিনু রাজশাহীতে দিনে-দুপুরে কন্যা শিশুকে অপহরণের চেষ্টা রাবি উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগ
  • বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||

  • অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
বন্যার্তদের জন্য রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের গণত্রাণ সংগ্রহ রাজশাহী অঞ্চলের ৫টি নদীর পানি বেড়েছে রাজশাহীতে লিটন-ডাবলুর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা রাজশাহী থেকে চলছে আন্তঃনগর ট্রেন দুর্গাপুরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা, ১০ জনকে পুলিশে সোপর্দ বিএনপির কেউ দখল-চাঁদাবাজি করলে আইনে সোপর্দ করুন: মিনু রাজশাহীতে দিনে-দুপুরে কন্যা শিশুকে অপহরণের চেষ্টা রাবি উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগ
১১৮

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে বাদ পড়ছেন দলবাজ কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২৪  

সদ্য বিদায়ী আওয়ামী সরকারের আমলে সচিবসহ সব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। একইভাবে দলবাজ সচিব, মহাপরিচালক বা প্রতিষ্ঠান প্রধানরাও বাদ পড়বেন।

 

বর্তমানে প্রশাসনে সচিব, সিনিয়র সচিব বা সমমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন ৮৫ জন। এর মধ্যে চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৯ জন।

 

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। গণহত্যার তকমা মাথায় নিয়ে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ঐ দিন দুপুরেই হেলিকপ্টারে ছোটবোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি। বর্তমানে তারা দিল্লিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

ঐ দিনই সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক ও বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কথা জানান। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার ভাষণে অন্তর্বর্তীকালে সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বা রাতে শপথ গ্রহণ হবে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অনেকটাই বেড়ে গেছিল। গত ১১ জানুয়ারি নতুন সরকার গঠনের পর প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থাকা কর্মকর্তারা অপরিহার্য না হলেও দলীয় আস্থাভাজন হওয়ার কারণে মেয়াদ শেষে তাদের চুক্তিতে রেখে দেওয়া হয়।

 

দ্বাদশ নির্বাচনে একপেশে নির্বাচনের পর সিনিয়র সচিব, সচিব এমন কী অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার কর্মকর্তারা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। এসব আমলাদের অনেকেই আওয়ামী লীগকে চতুর্থবারে ক্ষমতায় আনার গুরু দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, অন্য সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হবে।

 

চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত শীর্ষ কর্মকর্তারা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়া, জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আহমেদ মনিরুছ সালেহীন, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক সচিব ও অতিরিক্ত সচিব মর্যাদার চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা রয়েছেন।

বাদ পড়ছেন দলবাজরা-

দীর্ঘ মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় প্রশাসনে দলবাজ ও সুবিধাবাদীদের উত্থান ঘটে। তারা যতটা না সরকারি কর্মকর্তা বা আমলা, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছেন কি না। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে প্রতিষ্ঠিত হন দলবাজ কর্মকর্তারা। তাদের দাপটে মেধাবী, ভিন্ন মতের কর্মকর্তারা ছিলেন তটস্থ। পুরস্কৃত হতে থাকেন দলবাজ কর্মকর্তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের বিতর্কিত নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয় এ বছরের ৭ জানুয়ারি। বিএনপি-জামায়াতবিহীন সাজানো এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে। শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল এই কর্মকর্তা বিতর্কিত নির্বাচনী বৈতরণী পার করে প্রশংসা পান সংশ্লিষ্টদের। পুরস্কারস্বরূপ নতুন সরকার গঠনের পর তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব পদে বসানো হয়।

একইভাবে ছাত্রলীগ ব্যাকগ্রাউন্ডে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব হন মোহাম্মদ মেসবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, স্বাস্থ্যসেবা সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, গণপূর্ত সচিব নবিরুল ইসলাম, হোসেনসহ দলবাজ আমলার তালিকায় রয়েছেন কমপক্ষে ৩৫-৪০ জনের নাম।

এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিবসহ বিভিন্ন দফতর অধিদফতরের শীর্ষ পদে থাকা দলবাজ কর্মকর্তাদেরও তালিকা হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিভিন্নভাবে সুবিধাভোগী এসব কর্মকর্তা বাদ পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
জাতীয় বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর