ব্রেকিং:
বন্যার্তদের জন্য রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের গণত্রাণ সংগ্রহ রাজশাহী অঞ্চলের ৫টি নদীর পানি বেড়েছে রাজশাহীতে লিটন-ডাবলুর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা রাজশাহী থেকে চলছে আন্তঃনগর ট্রেন দুর্গাপুরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা, ১০ জনকে পুলিশে সোপর্দ বিএনপির কেউ দখল-চাঁদাবাজি করলে আইনে সোপর্দ করুন: মিনু রাজশাহীতে দিনে-দুপুরে কন্যা শিশুকে অপহরণের চেষ্টা রাবি উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগ
  • বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪ ||

  • অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

  • || ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমার রাজশাহী
সর্বশেষ:
বন্যার্তদের জন্য রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের গণত্রাণ সংগ্রহ রাজশাহী অঞ্চলের ৫টি নদীর পানি বেড়েছে রাজশাহীতে লিটন-ডাবলুর বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা রাজশাহী থেকে চলছে আন্তঃনগর ট্রেন দুর্গাপুরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা, ১০ জনকে পুলিশে সোপর্দ বিএনপির কেউ দখল-চাঁদাবাজি করলে আইনে সোপর্দ করুন: মিনু রাজশাহীতে দিনে-দুপুরে কন্যা শিশুকে অপহরণের চেষ্টা রাবি উপাচার্যসহ ৭৫ জনের পদত্যাগ
৯৯

প্রবাসী আয়ে বড় পতন, জুলাইয়ে রিজার্ভ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২৪  

দেশে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ৬৩ কোটি ডলার বা প্রায় ২৫ শতাংশ কম রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ে বড় পতনের এ ধাক্কা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর পড়েছে। জুলাইয়ে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৩০ কোটি বা ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ ও রেমিট্যান্সের এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (বিপিএম৬) অনুসারে দেশের রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। ৩১ জুলাই তা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তবে ব্যবহারযোগ্য নিট রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। ঐ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর পর থেকেই ধারাবাহিক ক্ষয় চলছে। টানা পতনের পর জুনে এসে রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছিল। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল রেমিট্যান্সের বড় প্রবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে পাওয়া ঋণ। গত ২৯ মে বিপিএম৬ অনুসারে দেশের রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। ৩০ জুন তা বেড়ে ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তখন জানানো হয়, জুনে আইএমএফ থেকে প্রতিশ্রুত ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় হয়। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, আইবিআরডি, আইডিবিসহ বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা থেকে ৯০ কোটি ডলার ঋণ পায় বাংলাদেশ। ঋণের এ অর্থ যুক্ত হওয়ায় জুনে রিজার্ভের পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। কিন্তু এক মাস না যেতেই আবারো আগের চেহারায় ফিরেছে রিজার্ভ।

গত অক্টোবর থেকে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল। এর মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে প্রতি মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। কিন্তু জুলাইয়ে এসে সে প্রবাহে লেগেছে বড় ধরনের ধাক্কা।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল জানানো হয়, জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর আগে জুনে ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার এসেছিল। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে প্রবাসীদের আয় ৬৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার কম এসেছে। এক্ষেত্রে রেমিট্যান্স কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। এ হিসাবেও গত মাসে রেমিট্যান্স ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৪৫ কোটি ৭ লাখ ডলার আসে। এর পর ২১ থেকে ২৭ জুলাই প্রবাসী আয় আসে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মাসের শেষ চারদিনে ৩৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার এসেছে। কেবল ৩১ জুলাই ১২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকে ঘিরে ১৮ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল। একই সময় বন্ধ ছিল ব্যাংকসহ অর্থ লেনদেনের আনুষ্ঠানিক প্রায় সব মাধ্যম। দেশে সংঘটিত সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকার কয়েক দেশে প্রবাসীরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কোনো কোনো সমাবেশ থেকে রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণাও আসে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রবাসীদের রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণার পর দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীকে ডেকে রেমিট্যান্স বাড়ানোর তাগিদ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে এতদিন ডলারপ্রতি ১১৭-১১৮ টাকা পরিশোধ করছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পেয়ে ১২০ টাকা দরেও ডলার কিনে নেয়। এ কারণে মাসের শেষ তিনদিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার প্রভাবে দেশের খুচরা বাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলারের দর ৫-৬ টাকা বেড়ে গেছে। গত ১৭ জুলাই কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলারের দর ছিল ১১৯-১২০ টাকা। গতকাল প্রতি ডলার লেনদেন হয়েছে ১২৫ টাকা পর্যন্ত।

আমার রাজশাহী
আমার রাজশাহী
জাতীয় বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর